শাহরিয়ার, অস্ট্রিয়া।
গতকাল ছোট ভাই ওসমান গনি বাংলাদেশ থেকে একটা নব প্রকাশিত বইয়ের পিডিএফ পাঠালো। তখন এখানের সময় প্রায় বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা। আমি অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছিলাম হটাৎ একটা মেইল আসল তারপর হোয়াটসঅ্যাপ এ ম্যাসেজ ওপাস থেকে ওসমান গনি বলেছিল ” ভাইয়া বইটি পড়ে আপনার মন্তব্য দিবেন, অপেক্ষায় থাকবো”
আমি ভেবেছিলাম এটা হয়তো সায়েন্স ফিকশন রিলেটেড বই হবে, কিন্ত পড়ে দেখলাম এটা ছড়ার বই।
রাতে সময় নিয়ে পড়লাম বইটি। আমি সত্যিই বই পড়ুয়া একজন। ছেলেবেলা থেকে শুরু করে নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস আমার। বাংলাদেশ যাওয়া হয় না প্রায় ৭ বছর। নতুন লেখকদের বই পড়া হয়নি সে সুদীর্ঘ সময় গুলোতে। বাংলা সাহিত্য আমার মন কাড়ে সবসময়। প্রতি যুগে যুগে গুনী ও মহা মানবের জন্ম হয় তাই নব প্রতিভার পরিস্ফুটিত ভাবকে সাধুবাদ জানানোই শ্রেয়। অনেক ভালো পড়ুয়াদের একটা বদ অভ্যাস নতুনদের লেখ না পড়া, কিন্ত আমি তাতে ভিন্ন। ভালো কিংবা মন্দ সব জায়গায় থাকতে পারে। আমি আমার জীবনে এমন অনেক লোকের লেখা পড়েছি যারা ছিল একেবারেই নতুন কিন্ত ওদের লেখার মান অনেক পক্ক লেখকদের চেয়েও অনেক ভালো ছিল।
ওসমান গনি আমাকে লিখেছিল ” বুলবুলের ভাবনাগুচ্ছ” আয়েশা সিদ্দিকার লেখা একমাত্র বই।
আমি ওনাকে নতুন লেখক ভাবতে নারাজ। বইটির একটা কবিতা “আশা” এটা কবি মনের ভাবনার অনেক পরিপক্কতা প্রকাশ করেছে। ভাষা শৈলী ও শব্দ চয়ন কবি মনের কাব্যিক ভাবকে ইতিবাচক গাম্ভীর্যের শীর্ষে পৌছেছে। লেখকের আরেকটা সৃষ্টি স্মৃতি গাথা ভাবনা যা কবি মনের ভাবনা জগতের গাম্ভীর্যপুর্ণতা প্রকাশ করেছে।
বইটা পড়ে লেখকের স্মৃতি কথা যা ছন্দে মিশিয়ে ছড়ায় প্রকাশ করা হয়েছে তাই মনে হল। কিছু কিছু লেখায় ওনার একাকিত্ব ওনাকে ভাবনার সাগরে ডুবিয়ে লেখালেখি করতে অনুপ্রাণিত করেছে। আবার অনেক ছড়ায় বর্তমান সামাজিক অনেক প্রেক্ষাপট ফুটে উঠেছে।
এক কথায় বইটি আমার ব্যাক্তিগত ভাবে অনেক ভালো লেগেছে। আরো ভালো লাগতো বইটি একটা কপি পেয়ে পড়তে পারলে। মহামারি করোনা দূর্যোগে অনেক ক্লান্তিকাল পাড় করে যাচ্ছে সমগ্র বিশ্ব। এই দূর্যোগে আমি ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমেই সব কাজ করতে অভ্যাস্ত প্রায়।
আয়েশা সিদ্দিকার লেখা “বুলবুলের ভাবনাগুচ্ছ” বইটি বেহুলা বাংলা প্রকাশনা থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।
বইটি ২০২১ বইমেলায় স্টল নং ৫২১-৫২২-৫২৩ এ পাওয়া যাচ্ছে।
শাহরিয়ার আহমেদ, খণ্ডকালীন প্রভাষক ও ফেলো, অস্ট্রিয়া।